লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে নেমে আসা তিস্তা নদী থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। তিস্তার চরাঞ্চল ও তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি থেকে নামছে পানি। তবে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে তিস্তার দুপাড়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার (১৯ জুন) সকাল সন্ধ্যায় তিস্তার ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে তিস্তা ব্যারাজের ভাটি এলাকার চর অঞ্চলগুলোতে পানি ঢুকে ঘরবন্দি হন মানুষ।
পরের দিন (২০ জুন) দুপুর ২টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড হয়েছে ৫১ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হয়েছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিস্তার পানি কমলেও বাড়ছে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি। লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলায় তিস্তা চরাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি একদিন থাকার পর রাত থেকে কমতে শুরু করেছে। পানি কমলেও দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ। পানিতে রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ায় মানুষের চলাচলের দুর্ভোগ বেড়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে পানিবন্দি থাকার পর নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের এখনো কোন সরকারি সহযোগিতা দেওয়া হয়নি।
এদিকে, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, সিংগীমারী, সিন্দুর্না ডাউয়াবাড়ি, পাটিকাপাড়া, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ও লালমনিরহাট সদরের খুনিয়াগাছ, কালমাটি এলাকায় পানি কমলেও দেখা দিয়েছে তিস্তার ভয়াবহ ভাঙন।
আদিতমারী উপজেলা প্রকল্প ও বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম জানান, বন্যার্তদের তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। নির্দেশ পেলেই পানিবন্দি পরিবারগুলোর মাঝে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হবে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ জানান, বন্যার্ত পরিবারে বিতরণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে তিনশত মেট্রিক টন চাল এবং চার লক্ষ টাকা জমা রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে সেগুলো বিতরণ করা হবে।
এম.এফ/রংপুর টাইমস